বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাভারের কলমা এলাকায় জমি কিনে বাড়ী বানিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন সিরাজগঞ্জ জেলার সাহাজাদপুর থানার পৌরজনা গ্রামের মৃত ওসমান গণীর ছেলে রবিউল পারবেজ ও তার পরিবার।
রবিউল পারেভেজের চাচির অভিযোগ রবিউলের চাচা ও বাবা মিলে কলমায় বানিয়েছেন বিশাল অট্টালিকা । যদিও ভবন নির্মাণে ব্যায়কৃত টাকা সবচেয়ে বেশি ব্যায় করেছেন রবিউলের চাচা হারুন সাহেব কিন্তু কথিত মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকাসক্ত রবিউল পারভেজ চাচা হারুনের মৃত্যুতে সব সম্পত্তি থেকে আপন চাচি ও চাচার সন্তানদের বঞ্চিত করে একাই সব সম্পত্তি ভূগ করছেন রবিউল পারভেজ। এবং উক্ত বাড়িটি প্রতারনা করে হারুন সাহেবের অসুস্থ থাকার সুযোগে ব্যাংকে মর্গেজসহ বিভিন্ন কথার ছলে রবিউল পারবেজ ও উসমান গণী বাড়িটি লিখে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তার চাচি।
কিছু দিন আগেও মদ্যপান করে তার মাকে পিটিয়ে আহত করে এই রবিউল পারেভেজ। পরে তার মা স্থানীয়দের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পাননি কারন এলাকার ত্রাস ক্ষেত অত্যাচারি রবিউলের ভয়ে তার অসহায় মায়ের পাসে দাড়াতেও কেউ সাহশ দেখায়নি।
বাড়ি নির্মাণের সময় কন্ট্রাকটর মনসুরের কাজের বাবদ সারে পাঁচ লাখ টাকা এবং ব্যাবসায়ীক লেনদেন বাবদ মনসুর আলতাফ ও মহশিনের কাছ থেকে আরো ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে কলমা নিরিবিলি পাইকারি ষ্টোর নামে একটি ব্যবসা খুলে। সর্তানুযায়ী ব্যবসার লাভ সমান ভাবে দেয়ার কথা থাকলেও রবিউল পারবেজ তা এড়িয়ে যান এবং দিনের পর দিন তাল বাহানা করতে থাকে । মনসুর গংরা যখনই টাকা চান তাদেরকে বিভিন্ন গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ভয় ভিতি দেখাতে থাকে। অভিযোগ রয়েছে পাইকারী ব্যাবসার আড়ালে রবিউল পারবেজ তার স্থানীয় সহযোগীদের নিয়ে রমরামা মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে।
পরে উপায়ন্তর না পেয়ে মনসুর আলতাফ ও মহশিন এলাকার মাদবর ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহায়তায় কাদের মাদবরের বাড়িতে সালিশি ডাকেন । সালিশে রবিউল পারভেজের পিতা ওসমান গণী ও রবিউল পারবেজ নিজে উপস্থিত থেকে সবার সম্মতি ক্রমে হাজিরান মজলিশে টাকার হিসাব যথাযথ ভাবে করেন এবং টাকা পরিশোধের জন্য কিছু দিন সময় চান । কিন্তু মনছুর আলতাফ ও মহশিন সময় দিতে রাজি না হলেও মাদবরদের ফায়সালা অনুযায়ী ও মাদবরদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সময় দিতে রাজি হলে মাদবরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওসমান ও রবিউল পারভেজ পঞ্চাশ হাজার টাকা কম দিয়ে বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করে ৪১ লাখ টাকার চেক প্রধান করেন এবং বিচক্ষণ মাদবরদের ফায়সালার মধ্য দিয়ে ঘঠনাটির সুন্দর সমাপ্তি ঘটে এবং ওসমান ও রবিউল পারভেজ দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চান । কিন্তু কয় দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেই যখন টাকা দেয়ার সময় ঘনিয়েছে কিন্তু টাকা যোগার করতে ব্যার্থ হয় ঠিক তখনি রবিউল পারবেজের পরামর্শে ওসমান গণী পাওনাদার মনসুর,মহশিন,আলতাফ ও স্থানীয় সালিশে উপস্থিত থেকে সংবাদ সংগ্রহ করা একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় এবং হয়রানী করতে থাকে। প্রায় দুইটি বছড় ধরে অপরাধী না হয়েও মনসুর গং এবং একজন সাংবাদিক আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে হাজিরা দিতে থাকেন। অন্য দিকে পারবেজ উকিলকে ম্যানেজ করে টাকার বিনিময়ে শুধু সময়ের আবেদন করে কাল ক্ষেপন করেছেন কিন্তু কখনো আদালতে উপস্থিত হননি। তবে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। যে কারনে উকিলের জেরার মুখে সত্য বেড়িয়ে এসেছে এবং প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় বুঝতে পেরেছেন মামলাটি ভূয়া এবং হয়রানি মূলক ঠিক তখনি কোন রকম কাল ক্ষেপন না করে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় রবিউল পারবেজকে পুলিশ হেফাজাতে নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রবিউল পারভেজ এখন আদালতের নির্দেশে শ্রী ঘরে বন্ধী।